সমুদ্রের বিশালতা, দিগন্তছোঁয়া নীল জলরাশি আর বিশাল বিশাল কন্টেইনার জাহাজ এই দৃশ্যগুলো আমাদের সবার মনেই একটা রোমাঞ্চ তৈরি করে। আর সেই জাহাজের হার্টবিট সচল রাখেন যিনি, তিনিই মেরিন ইঞ্জিনিয়ার। আপনি যদি এই পেশাটি নিয়ে আগ্রহী হন, তবে আমি নিশ্চিত, আপনার মনে প্রথম যে প্রশ্নটি ঘুরপাক খাচ্ছে তা হলো: “মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং এর বেতন কত?” এটি খুবই যৌক্তিক একটি প্রশ্ন। কারণ দিনশেষে, ভালো একটি জীবনের স্বপ্ন নিয়েই আমরা সবাই এত কষ্ট করি। সত্যি বলতে, মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং পেশাটি শুধু অ্যাডভেঞ্চারের নয়, এটি বর্তমান বিশ্বের অন্যতম উচ্চ বেতনের একটি পেশাও বটে। তবে এই বেতন কিন্তু এক লাফে আসে না। এর পেছনে আছে অনেক ধাপ, পরিশ্রম আর অভিজ্ঞতা।
এই ব্লগ পোস্টে, আমি আমার অভিজ্ঞতা এবং এই সেক্টরের গভীর বিশ্লেষণ থেকে আপনাকে একটি সম্পূর্ণ এবং বাস্তব চিত্র দেওয়ার চেষ্টা করবো। আমরা শুধু বেতনের অঙ্ক নিয়েই কথা বলবো না, বরং জানবো কেন এই বেতনের তারতম্য হয়, কী কী সুবিধা আপনি পাবেন, এবং এই পেশার চ্যালেঞ্জগুলো কী। চলুন, শুরু করা যাক।
এক নজরে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন (আন্তর্জাতিক মান)

আপনি হয়তো মূল আলোচনায় যাওয়ার আগে খুব দ্রুত একটি ধারণা পেতে চাইছেন। আপনার এই আগ্রহকে আমি সম্মান জানাই। চলুন, আর অপেক্ষা না করে প্রথমেই আন্তর্জাতিক বাজারে একজন মেরিন ইঞ্জিনিয়ারের পদমর্যাদা অনুযায়ী আনুমানিক মাসিক বেতনের একটি চিত্র দেখে নিই।
অনুগ্রহ করে মনে রাখবেন: এই অঙ্কগুলো সম্পূর্ণ আনুমানিক এবং আন্তর্জাতিক মানের (সাধারণত মার্কিন ডলারে) উপর ভিত্তি করে দেওয়া। এটি কোম্পানি, জাহাজের ধরণ এবং আপনার অভিজ্ঞতার সাথে কম বা বেশি হতে পারে।
| পদের নাম (Rank) | আনুমানিক মাসিক বেতন (USD) | অভিজ্ঞতা (বছর) |
| ক্যাডেট/ট্রেইনি ইঞ্জিনিয়ার | $৫০০ – $১,২০০ | ০ – ১ |
| ফোর্থ (4th) ইঞ্জিনিয়ার | $২,৫০০ – $৪,৫০০ | ১ – ৩ |
| থার্ড (3rd) ইঞ্জিনিয়ার | $৩,৫০০ – $৫,৫০০ | ২ – ৫ |
| সেকেন্ড (2nd) ইঞ্জিনিয়ার | $৬,০০০ – $৯,০০০ | ৫ – ৮ |
| চিফ ইঞ্জিনিয়ার (Chief Engineer) | $১০,০০০ – $১৬,০০০+ | ৮+ |
এই টেবিলটি দেখে নিশ্চয়ই আপনার চোখ কপালে ওঠেনি, বরং একটি সুস্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন। এখন প্রশ্ন হলো, কেন এই বেতনের এত বড় ব্যবধান? এবং কীভাবে আপনি ক্যাডেট থেকে চিফ ইঞ্জিনিয়ারের এই স্বপ্নিল বেতনে পৌঁছাবেন? চলুন, পরের ধাপে এই বিষয়গুলোই ভাঙা যাক।
পদের ধরণ (Rank) অনুযায়ী বেতনের বিস্তারিত বিভাজন
মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরটি একটি সামরিক বাহিনীর মতো সুশৃঙ্খল। এখানে প্রতিটি ধাপ পরীক্ষার মাধ্যমে অর্জন করতে হয়, আর প্রতিটি ধাপে আপনার বেতন এবং দায়িত্ব—দুটোই রকেটের গতিতে বাড়ে।
ক্যাডেট (Cadet) বা ট্রেইনি ইঞ্জিনিয়ার:
এটাই আপনার বাস্তব জীবনের প্রথম ধাপ, স্বপ্ন পূরণের প্রথম সিঁড়ি। একাডেমি থেকে পাস করার পর আপনি যখন প্রথম জাহাজে পা রাখেন, তখন আপনাকে ‘ক্যাডেট’ বলা হয়। এই সময়টা মূলত শেখার। আপনি সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ারদের সাথে থেকে কাজ শেখেন, ইঞ্জিন রুমের প্রতিটি কোণ চিনে নেন। এই সময়ে আপনি যা পান, তা ঠিক ‘বেতন’ নয়, বরং ‘স্টিপেন্ড’ বা ভাতা। এটি সাধারণত $৫০০ থেকে $১,২০০ ডলার পর্যন্ত হতে পারে। এই টাকাটা আপনার হাতখরচ এবং শেখার প্রতিদান।
ফোর্থ (4th) ইঞ্জিনিয়ার ও থার্ড (3rd) ইঞ্জিনিয়ার:
ক্যাডেটশিপ সফলভাবে শেষ করার পর এবং নির্দিষ্ট ‘সি-টাইম’ (সাগরে কাটানো সময়) পার করে যখন আপনি প্রথম প্রফেশনাল পরীক্ষা (COC – Certificate of Competency) পাস করেন, আপনি ‘ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার’ হিসেবে জয়েন করেন। আপনি এখন একজন পুরোদস্তুর অফিসার! আপনার কাঁধে নির্দিষ্ট যন্ত্রপাতির দায়িত্ব আসে (যেমন: পিউরিফায়ার, পাম্প)। বেতনও এক লাফে বেড়ে $২,৫০০ থেকে $৪,৫০০ হয়ে যায়। আরেকটু অভিজ্ঞতা হলে এবং পরবর্তী পরীক্ষায় পাস করলে আপনি ‘থার্ড ইঞ্জিনিয়ার’ হন, তখন আপনার বেতন এবং দায়িত্ব আরও বাড়ে।
সেকেন্ড (2nd) ইঞ্জিনিয়ার:
এটি ইঞ্জিন রুমের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পদ। আপনি তখন চিফ ইঞ্জিনিয়ারের ডান হাত। ইঞ্জিন রুমের দৈনন্দিন রক্ষণাবেক্ষণ, ওয়ার্কশপের কাজ এবং পুরো ইঞ্জিন টিমের ব্যবস্থাপনা আপনার কাঁধে থাকে। এই পদের জন্য যেমন গভীর টেকনিক্যাল জ্ঞান দরকার, তেমনি দরকার অসাধারণ ম্যানেজমেন্ট দক্ষতা। বেতনও সেই মাপের; মাসিক $৬,০০০ থেকে $৯,০০০ ডলার পর্যন্ত হতে পারে।
চিফ ইঞ্জিনিয়ার (Chief Engineer):
মেরিন ইঞ্জিনিয়ারদের স্বপ্ন, ইঞ্জিন বিভাগের সর্বোচ্চ পদ। আপনিই তখন পুরো ইঞ্জিন রুমের ‘রাজা’। জাহাজের হার্টবিট, অর্থাৎ মূল ইঞ্জিন থেকে শুরু করে জেনারেটর, লাইট, এসি—সবকিছুর সম্পূর্ণ দায়িত্ব আপনার। আপনার একটি সইয়ের উপর নির্ভর করে জাহাজের নিরাপত্তা। এই বিশাল দায়িত্বের সাথে আসে বিশাল অঙ্কের বেতন, যা অভিজ্ঞতা এবং জাহাজের ধরণ ভেদে মাসে $১০,০০০ থেকে $১৬,০০০ ডলার বা তারও বেশি (প্রায় ১০ থেকে ১৭ লক্ষ টাকা) হতে পারে।
বেতনের তারতম্য কেন হয়? (মূল প্রভাবকসমূহ)
এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে, আমার পরিচিত একজন সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার ৭,০০০ ডলার পান, কিন্তু আপনি বললেন ৯,০০০ ডলার পর্যন্ত হতে পারে। এই পার্থক্য কেন হয়? হ্যাঁ, এর পেছনে অনেকগুলো বড় কারণ আছে।
জাহাজের ধরণ (Type of Ship):
সব জাহাজ এক নয়। একটি সাধারণ কন্টেইনার জাহাজ বা বাল্ক ক্যারিয়ার (যা কয়লা, সিমেন্ট বহন করে) এর থেকে একটি অয়েল ট্যাংকার, কেমিক্যাল ট্যাংকার বা বিশেষ করে এলএনজি (LNG) গ্যাস ট্যাংকারের বেতন অনেক বেশি হয়। কারণ? ঝুঁকি। গ্যাস ট্যাংকারে কাজ করা অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ, তাই এর বেতন এবং সুযোগ-সুবিধাও অনেক বেশি।
কোম্পানির ধরণ (Company Policy):
বিশ্বখ্যাত বড় বড় শিপিং কোম্পানি (যেমন Maersk, MSC, MOL, Chevron) তাদের ইঞ্জিনিয়ারদের যে বেতন দেয়, তা হয়তো একটি ছোট বা মাঝারি মানের ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি দিতে পারে না। কোম্পানির সুনাম, কাজের পরিবেশ এবং বেতন কাঠামো এখানে বড় ভূমিকা রাখে।
অভিজ্ঞতা ও সার্টিফিকেশন (COC):
আপনার ‘সিওসি’ (Certificate of Competency) হলো আপনার দক্ষতার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। আপনি কোন দেশ থেকে (যেমন: UK, Singapore, Australia) সিওসি নিয়েছেন, তার উপরও অনেক সময় বেতন নির্ভর করে। আর অভিজ্ঞতা? এই পেশায় অভিজ্ঞতার কোনো বিকল্প নেই। আপনার অভিজ্ঞতা যত বেশি, আপনার দরদাম করার ক্ষমতাও তত বেশি।
আন্তর্জাতিক রুট বনাম দেশীয় রুট:
আপনি যদি আন্তর্জাতিক রুটে (Foreign-Going) জাহাজে চাকরি করেন, আপনার বেতন ডলারে আসবে। কিন্তু আপনি যদি দেশীয় রুটে (Coastal) বা ইনল্যান্ড ভেসেল-এ কাজ করেন, তবে আপনার বেতন দেশীয় মুদ্রায় (টাকায়) হবে এবং তা আন্তর্জাতিক মানের চেয়ে স্বাভাবিকভাবেই কম হবে।
বেতনের বাইরেও যেসকল সুবিধা পাওয়া যায় (Perks & Benefits)

মেরিন ইঞ্জিনিয়ারদের জীবন মানে শুধু ডলারের অঙ্ক নয়। এর সাথে এমন কিছু সুবিধা জড়িত, যা অন্য কোনো পেশায় হয়তো কল্পনাই করা যায় না।
- ট্যাক্স-ফ্রি বেতন (Tax-Free Salary): যেহেতু আপনি বছরের বেশিরভাগ সময় দেশের বাইরে (আন্তর্জাতিক জলসীমায়) থাকেন, তাই অনেক দেশেই আপনার এই আয়ের উপর কোনো ট্যাক্স দিতে হয় না। অর্থাৎ, বেতনের প্রায় পুরোটাই আপনার সেভিংস।
- বিনামূল্যে থাকা-খাওয়া: জাহাজে আপনার থাকা, তিন বেলার ভালো মানের খাবার, লন্ড্রি, জিম, ইন্টারনেট—সবকিছুর খরচ কোম্পানি বহন করে। আপনার ব্যক্তিগত খরচের জন্য পকেট থেকে একটি টাকাও খরচ হয় না।
- ভ্রমণ: এটা তো বলবার অপেক্ষাই রাখে না। আপনি কাজের জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পুরো পৃথিবী ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আজ সিঙ্গাপুর তো কাল ব্রাজিল, পরশু হয়তো কেপটাউন।
- দীর্ঘ ছুটি (Work-Life Balance): এটাই এই পেশার সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিকগুলোর একটি। আপনি হয়তো একটানা ৪, ৬ বা ৮ মাস কাজ করলেন। এরপর যখন ছুটিতে বাড়ি ফিরবেন, তখন একটানা ২, ৩ বা ৪ মাসের ছুটি পাবেন। এই সময়ে আপনি আপনার পরিবারকে সম্পূর্ণ সময় দিতে পারবেন, কোনো কাজের চাপ থাকবে না।
যখন মেরিন ইঞ্জিনিয়াররা তীরে কাজ করেন
অনেকেই ভাবেন যে, মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং মানে সারাজীবন জাহাজে ভেসে বেড়ানো। এটা একদমই ভুল ধারণা। ৫, ১০ বা ১৫ বছর সাগরে চাকরি করার পর, যখন আপনার মনে হবে যে যথেষ্ট হয়েছে, এবার পরিবারকে সময় দেওয়া দরকার, তখন আপনার জন্য তীরেও (Ashore) দারুণ সব চাকরির সুযোগ অপেক্ষা করে।
একজন অভিজ্ঞ মেরিন ইঞ্জিনিয়ার (বিশেষ করে চিফ বা সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার) তীরে এসে শিপিং কোম্পানির ‘সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার’, ‘পোর্ট ইঞ্জিনিয়ার’, ‘টেকনিক্যাল ম্যানেজার’ বা বিভিন্ন ক্লাসিফিকেশন সোসাইটিতে (যেমন: Lloyd’s, DNV) ‘সার্ভেয়ার’ হিসেবে যোগ দিতে পারেন। এছাড়া পাওয়ার প্ল্যান্ট, বড় বড় ফ্যাক্টরি বা দামী হোটেলে চিফ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবেও তাদের ব্যাপক চাহিদা থাকে। এসব চাকরিতে বেতন হয়তো জাহাজের মতো ডলারে হয় না, তবে দেশীয় মানে তা অত্যন্ত সম্মানজনক (মাসে ২ থেকে ৫ লক্ষ টাকা বা তারও বেশি) এবং আপনি প্রতিদিন কাজ শেষে নিজের ঘরে ফিরতে পারেন।
এই পেশাটি কি আপনার জন্য?
আমি চেষ্টা করেছি মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং এর বেতনের একটি পূর্ণাঙ্গ চিত্র আপনার সামনে তুলে ধরতে। হ্যাঁ, এই পেশায় টাকা আছে, সম্মান আছে, বিশ্ব ভ্রমণের সুযোগ আছে। কিন্তু এর সাথে আছে কঠোর পরিশ্রম, একাকীত্ব এবং ত্যাগের মানসিকতা। এই পেশাটা শুধু টাকার জন্য নয়, এটা একটা ‘প্যাশন’। যদি সমুদ্র আপনাকে টানে, মেশিনের শব্দ যদি আপনাকে গান শোনায়, আর আপনি যদি একটি চ্যালেঞ্জিং জীবনের জন্য প্রস্তুত থাকেন, তবে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং আপনার জন্যই। আপনার বেতনের অঙ্কটা শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র। এই পোস্টটি পড়ার পর, মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং পেশা নিয়ে আপনার ধারণা নিশ্চয়ই আরও স্পষ্ট হয়েছে। আপনার যাত্রা শুভ হোক!
Q1: একজন মেরিন ইঞ্জিনিয়ার সর্বোচ্চ কত টাকা বেতন পেতে পারেন?
উত্তর: একজন অভিজ্ঞ চিফ ইঞ্জিনিয়ার বিশেষায়িত জাহাজে (যেমন LNG ট্যাংকার) মাসে $১৫,০০০ থেকে $২০,০০০ ডলার বা তারও বেশি (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৬ থেকে ২২ লক্ষ টাকা) বেতন পেতে পারেন।
Q2: মেরিন ইঞ্জিনিয়ার হতে কত বছর সময় লাগে?
উত্তর: সাধারণত ৪ বছরের অ্যাকাডেমিক পড়াশোনা এবং ১ বছরের ক্যাডেটশিপ মিলিয়ে মোট ৫ বছর লাগে শুধু জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার (ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার) হতে। ধাপে ধাপে পরীক্ষা দিয়ে চিফ ইঞ্জিনিয়ার হতে সাধারণত ৮ থেকে ১২ বছর সময় লেগে যায়।
Q3: বাংলাদেশে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন কত?
উত্তর: যারা বাংলাদেশে অবস্থিত বিভিন্ন অফিসে (শোর জব) বা দেশীয় জাহাজে কাজ করেন, তাদের বেতন পদ অনুযায়ী ৫০ হাজার থেকে শুরু করে ৫ লক্ষ টাকা বা তারও বেশি হতে পারে।
Q4: মেয়েরা কি মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে পারে?
উত্তর: অবশ্যই। সারা বিশ্বে এবং বাংলাদেশেও এখন অনেক মেয়ে সফলভাবে মেরিন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে জাহাজে এবং তীরে কাজ করছেন। কোম্পানিগুলোও নারী মেরিনারদের উৎসাহিত করতে বিশেষ সুবিধা প্রদান করে থাকে।
স্বাস্থ্য ঝুঁকি সৃষ্টিতে অণুজীবের ভূমিকা নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য এখানে প্রবেশ করুন।